گرینبی (س۔ح) کے پڑھنے کا طریقہ / اسلامیات کے قریب واقعات اور اس کی تشکیل
কুরআন ও হাদিসের আলোকে চিকিৎসা এবং মহানবী (সঃ) এর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
পবিত্র কুরআন ও হাদিসে স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার ব্যাপারে নানা দিক নির্দেশনা রয়েছে, যা মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যা থেকে মানুষকে দূরে রাখে। যেমন ইসলামে তরুণদের বিয়ে এবং পরিবার গঠনের ওপর অপরিসীম গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সুরা রূমের ২১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, 'তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন,যাতে তোমরা তাদের নিকট শান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহানুভূতি সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে নিদর্শন রয়েছে।'
ইসলাম ধর্ম পারিবাবিক ও আত্মীয়তার বন্ধন সুদৃঢ় রাখার উপর ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছে। সকল আত্মীয়-স্বজন বিশেষ করে পিতা-মাতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে বারবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পারস্পরিক বন্ধন ও সুসম্পর্ক, মানুষকে মানসিক দিক থেকে সুস্থ্য ও ভারসাম্যপূর্ণ থাকতে সহায়তা করে। মুসলমানদেরকে পবিত্র কুরআন অধ্যয়ন, নামাজ আদায়, দোয়া করা এবং অন্যান্য এবাদতের মাধ্যমে নিজের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, এর ফলে মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত হবে। মানুষ যদি মনপ্রাণ দিয়ে আন্তরিকতার সাথে তার সৃষ্টিকর্তাকে ডাকে তাহলে অবশ্যই সে তার ফল পাবে। আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে বলেছেন, আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।
পবিত্র কুরআন, মানসিক ও আত্মিক সমস্যার সমাধানসূত্রের পাশাপাশি দেহের নানা রোগ নিরাময়েরও পথ বাতলে দিয়েছে। ইসলাম ধর্ম রোগ প্রতিরোধের ওপরই সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেছে। কুরআনের বিভিন্ন আয়াত এবং হাদিসে এমন সব দিক-নির্দেশনা রয়েছে,যা রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। যেমন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, ক্ষুধার্ত না হলে খেতে বসনা এবং পেট পরিপূর্ণ হবার আগেই খাওয়া শেষ কর।
রাসূল (সাঃ) ও ইমামগণ এমন সব খাদ্যদ্রব্যের নাম উল্লেখ করেছেন, যা ব্যথা উপশমসহ নানা রোগ থেকে মানুষকে মুক্ত রাখে। একই সাথে কুরআনে অনেক খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়েছে। মানুষের মন-মানসিকতার ওপর খাদ্যের প্রভাবের কথাও কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। সূরা বাকারার ১৬৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে মানব-জাতি! পৃথিবীতে যা কিছু বৈধ ও পবিত্র খাদ্য আছে, তা হতে তোমরা খাও এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করোনা। নিশ্চয় সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে কিছু কিছু খাদ্য ও পানীয়কে হারাম বা অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এসব খাদ্য ও পানীয় মানুষের শরীর ও মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এর মধ্যে মদ, শূকরের গোশত ও মৃত প্রাণীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
কোরআনে রোগ নিরাময়কারী কিছু খাদ্যের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে,যা আল্লাহতায়ালার শক্তি ও সামর্থ্যরে বহিঃপ্রকাশও বটে। এছাড়া পবিত্র কুরআনে কিছু ওষুধের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনের একটি সূরার নাম নহল বা মৌমাছি। ফুলের মধু আহরণ ও চাক তৈরীসহ মৌমাছির বিভিন্ন কর্মপ্রণালী সম্পর্কে বর্ণনা তুলে ধরে সূরা নহলের ৬৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘ওদের উদর হতে বিবিধ বর্ণ-বিশিষ্ট পানীয় নির্গত হয়ে থাকে, এতে মানুষের জন্য ব্যধির প্রতিকার আছে। এই আয়াতে মধুর গুণাবলী সম্পর্কে বলা হয়েছে।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে মধুর মতো এত বেশী কার্যকর আর কোন উপাদান নেই। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানেও এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, মধুর নানা বিশেষত্ব রয়েছে এবং তা রোগ নিরাময়ে ব্যাপক কার্যকর।
এছাড়া পবিত্র কুরআনে মানুষের সুস্থতার প্রতি ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রোজার বিধান অন্যতম। মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রোজা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, রোজা রাখুন তাহলে সুস্থ্য থাকবেন।( সংক্ষিপ্ত )
পবিত্র কুরআনে এবং হাদিসে চিকিৎসার ক্ষেত্রে আরো অনেক দিক রয়েছে,যেগুলো এ্যাপের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আশাকরি, কুরআন ও হাদিসের আলোকে চিকিৎসা অ্যাপলিকেশনটি পড়ে আপনারা প্রাত্যাহিক জীবনে অনেক উপকৃত হবেন এবং আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের মাঝে এ্যাপটি শেয়ার করে তাদেরকে ও পড়ার সুযোগ করে দিবেন।
আপনার পজিটিভ রেটিং (৫ স্টার,রিভিউ) আমাদের অনুপ্রেরণা করে এবং অন্য ইউজারদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
বিঃ দ্রঃ এই অ্যাপ সম্পর্কে আপনার গুরুত্বপূর্ণ অভিমত আমাদের একান্ত কাম্য। ইমেইলের মাধ্যমে আপনার পাঠানো অভিমতের ভিত্তিতেই এই অ্যাপের উন্নয়ন ও সংশোধনের ব্যাবস্থা করা হবে। (ইনশাআল্লাহ) ধন্যবাদ