তরীকুল ইসলাম

হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী নেছারুদ্দীন আহমদ ছাহেব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)/ ছারছীনা /

আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবানীতে বিস্তারিত মাসয়ালা-মাসায়েল সম্বলিত “তরীকুল ইসলাম” কিতাবখানি আজ বাংলাদেশের সর্বত্র পরিচিত। এই কিতাব হইতে শিক্ষা লাভ করিয়া লক্ষ লক্ষ মুসলমান পূর্ণাংগভাবে নামাজ রােজা আদায় করিবার সুযােগ লাভ করিয়াছে ও করিতেছে। এই কিতাবখানি একদিকে যেমন দীনদার মুসলমানগণের ঘরে ঘরে প্রবেশ লাভ করিয়াছে তেমনই অপর দিকে মাদ্রাসা, মসজিদ, পাবলিক লাইব্রেরী ও ইসলামী পাঠাগার। সমুহেও ইহা ইসলামী মাসয়ালা মাসায়েলের নুর বিকিরণ করিতেছে। ামদুলিল্লাহ!

বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে যখন বাংলার মুসলমানগণ অশিক্ষা ও কুশিক্ষার শিকার ৪ হইয়া দিনে দিনে ইলম ও আমলে গরীব হইয়া পড়িতেছিল, দেশে শিরক ও বিদয়াত প্রসারতা। াভ করিতেছিল তখন সেই সায়লাব হইতে মুসলমানগণকে রক্ষা করিবার জন্য আল্লাহর ওলী , ফুরফুরা শরীফের আ'লা কুতবুল ইরশাদ, মােজাদ্দিদে যমান পীরে কামেল হযরত ন বকর শাহ সূফী নেছারুদ্দীন আহমদ (রহঃ) ইলমে তরীকতের ঔ তা'লীমের জন্য খানকা এবং জাহিরী ইলমে তা'লীমের জন্য মাদ্রাসা সমূহ প্রতিষ্ঠা করিতে থাকেন।

সঙ্গে সঙ্গে তিনি ইসলামের বিভিন্ন আল আলােচনাসহ কিতাব প্রণয়ন করার কাজেও হাত দেন। তাহার লিখিত সেই সকল কিতাবের মধ্যে এই “তরীকুল ইসলাম” একখানি সুবৃহৎ গ্রন্থ শিক্ষিত এবং স্বল্প শিক্ষিত সকলেই যেন মাসয়ালাগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বুঝিতে পারে।এই জন্য তিনি প্রশ্নোত্তরে কিতাবখানি সংকলন করিয়া গিয়াছেন । ত ด้านล่าง

আল্লাহর মেহেরবানীতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ইহার মােট ১৫টি খন্ড প্রকাশিত হইয়াছে। তাহার বিসালের পর বর্তমান পীরে কামেল আলহাজ্জ হযরত মাওলানা শাহ মােহাম্মদ মােহেব্দুল্লাহ ছাহেব আরাে পূর্ণতায় পৌছানাের কাজে হাত দেন। তাই আল্লাহর মেহেরবানীতে বর্তমানে সাদা ও নিউজ কাগজে আধুনিক পদ্ধতিতে মুদ্রণ করে প্রকাশ করা। হইল । এই কিতাব সংকলনের সময় মরহুম পীর ছাহেবদ্বয় ও বর্তমান পীর ছাহেবের কতক সংগী ইহার পান্ডলিপি তৈরি করণে, মুদ্রণ ও প্রকাশনের ব্যাপারে সহযােগী ছিলেন। আমরা তাহাদের এই নেক কাজের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ।

বর্তমান পাঠকগণের রুচির দিকে খেয়াল করিয়া আমরা উপরােক্ত ১৫টি খন্ডকে দুই ভাগে সম্পাদন করিয়া প্রকাশ করিলাম । াতে মাসয়ালাগুলিতে পরিবর্তন হয় নাই । তবে পূর্বেকার খন্ডগুলিকে 'অধ্যায়' নামে নামকরণ করা হইয়াছে। এই সংস্করণে আমরা আগের কিছু কিছু শব্দের ছাপার ভুল সংশােধন করিবার প্রয়াস পাইয়াছি। সহৃদয় পাঠকবর্গের সুপরামর্শ লইয়া ভবিষ্যতে আমরা এই কিতাবকে পূর্ণতায় পৌছাইবার ইচ্ছা পােষণ করি।

মরহুম দাদা পীর ছাহেব এই কিতাবখানি সম্পাদন করিয়া ছারছীনার আলিয়া মাদ্রাসায় ওয়াকফ কবিয়া গিয়াছেন। ভবিষ্যতেও এই কিতাবের সংযােজনগুলি উক্ত মাদ্রাসার জন্যই ওয়াকফ থাকিবে।

বিনীত – প্রকাশক

আশা করি আমাদের এ এ্যাপটিও আপনাদের যথেষ্ট উপকারে আসবে। ভালো লাগলে অবশ্যয়ই আপনাদের মূল্যবান কমেন্ট জানাতে এবং ৫ স্টার রেটিং দিয়ে দিবেন। াদ