শেষের কবিতা(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)


1.1 oleh ডিজিটাল বাংলাদেশ
May 4, 2017 Versi Lama

Mengenai শেষের কবিতা(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

রবীন্দ্রনাথের চিত্রসৃষ্টি পর্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস (প্রথমটি যোগাযোগ) এটি.

শেষের কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিরচিত উপন্যাস. রবীন্দ্রনাথের চিত্রসৃষ্টি পর্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস (প্রথমটি যোগাযোগ) এটি. 19২7 সাল থেকে 19২8 সাল অবধি প্রবাসীতে ধারাবাহিকভাবে রচনাটি প্রকাশিত হয়.

পটভূমি

শেষের কবিতা বাংলার নবশিক্ষিত অভিজাত সমাজের জীবনকথা. ব্যক্তি মানুষের মূল্যচেতনার উপাদান যদি অন্তর থেকে শুধুই বার হয়ে আসতে থাকে - যার সমুন্নতি ও দীপ্তি বিদ্যার বৃহৎ পরিমার্জনায়, তারও একটা চরিত্র আছে. বাস্তব চেনাশোনার চলা বাহ্যিক অভিজ্ঞতার জগৎ থেকে তা একেবারে অন্তর অভিমুখী. এই নবতর চেতনার অদ্ভুত আবিষ্কার এই উপন্যাস রচনার কাছাকাছি সময়ে. রবীন্দ্রনাথের অঙ্কিত এই পর্বের দু-একটি মুখাবয়বে কল্পনার প্রাধান্য লক্ষণীয়.

বিষয় বস্তু

বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার অমিত রায় ( 'অমিট্ রে') প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত এবং রোমান্টিক যুবক. তর্কে প্রতিপক্ষকে হারাতে সিদ্ধহস্ত. এই অমিত একবার শিলং পাহাড়ে গেল বেড়াতে. আর সেখানেই এক মোটর-দুর্ঘটনায় পরিচয় ঘটল লাবণ্যর সাথে. যার পরিণতিতে এল প্রেম. কিন্তু অচিরেই বাস্তববাদী লাবণ্য বুঝতে পারল অমিত একেবারে রোমান্টিক জগতের মানুষ যার সঙ্গে প্রতিদিনের সাংসারিক হিসেব-নিকেশ চলে না. ইতিমধ্যে শিলং এ হাজির হয় কেটি (কেতকী). হাতে অমিতের দেওয়া আংটি দেখিয়ে তাকে নিজের বলে দাবী করে সে. ভেঙে যায় লাবণ্য-অমিতর বিবাহ-আয়োজন. শেষ পর্যন্ত অমিত স্বীকার করে যে, লাবণ্যের সাথে তাঁর প্রেম যেন ঝরনার জল - প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য নয়. আর কেতকীর সাথে সম্পর্ক ঘড়ায় রাখা জল- প্রতিদিন পানের উদ্দেশ্যে.

চরিত্র

অমিত রায়: শেষের কবিতার প্রধান চরিত্র অমিত রায়. অমিতর মধ্যে যেটি প্রবল সেটি হল প্রগল্ভতা. সেটিই তার ছদ্মবেশ. সে কবি বা আর্টিস্ট কোনটাই নয়, আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্যেই তাকে এই মুখোশ পরতে হয়েছে. 'রবিবার' গল্পের অভীক এবং 'প্রগতি সংহার' গল্পের নীহারের সঙ্গে অমিতর স্বভাবের একটা মিল আছে.

কেটি: অমিতের সহচর কেটি অর্থাৎ কেতকী. আর্বানিটির আড়ষ্ট কৃত্রিমতা নিয়ে সে একেবারে ভিন্ন জাতের. তাঁর মুখের মধ্যে একটা শ্রেণীজ্ঞাপক মুখোশের লক্ষণ বর্তমান.

অবনীশ দত্ত, লাবণ্য, শোভনলাল, যতিশঙ্করকে নিয়ে যথার্থ আভিজাত্যের পরিচয়টি সম্পূর্ণ হয়েছে বিদ্যাপরিমার্জিত অন্তর্জিজ্ঞাসু প্রবণতায়.

শুধু যোগমায়া এদের দুই শ্রেণীর থেকে একেবারে আলাদা, ঊনিশ শতকীয় জীবন ঐতিহ্যের নিশ্চিত দিশারী সে.

কাব্য সৌন্দর্য

রবীন্দ্রনাথের শেষজীবনে ছবি আঁকার কালে কথাসাহিত্যের চিত্রধর্মে কিছু কিছু নূতনত্ব দেখা গেছে. কলমের স্বল্প আঁচড়ে বক্তব্যকে নিশ্চিতভাবে চোখের সামগ্রী করে তোলার এক বিশেষ ঝোঁক এবং সেই সঙ্গে দক্ষতা.

"অমিত বলে, ফ্যাশানটা হল মুখোশ, স্টাইলটা হল মুখশ্রী. ওর মতে, যারা সাহিত্যের ওমরাও দলের, যারা নিজের মন রেখে চলে, স্টাইল তাদেরই. আর যারা আমলা দলের, দশের মন রাখা যাদের ব্যবসা, ফ্যাশান তাদেরই. ... কানাত হল ফ্যাশানের, বেনারসি হল স্টাইলের - বিশেষের মুখ বিশেষ রঙের ছায়ায় দেখবার জন্যে ".

"কমল-হীরের পাথরটাকে বলে বিদ্যে, আর ওর থেকে যে আলো ঠিকরে পড়ে, তাকে বলে কালচার.পাথরের ভার আছে, আলোর আছে দীপ্তি."

"সায়াহ্নের এই পৃথিবী যেমন অস্ত-রশ্মি-উদ্ভাসিত আকাশের দিকে নি:. শব্দে আপন মুখ তুলে ধরেছে, তেমনি নীরবে, তেমনি শান্ত দীপ্তিতে লাবণ্য আপন মুখ তুলে ধরলে অমিতের নতমুখের দিকে"

"সেইখানে পশ্চিমের দিকে মুখ করে দুজনে দাঁড়ালো. অমিত লাবণ্যের মাথা বুকে টেনে নিয়ে তার মুখটি উপরে তুলে ধরল. লাবণ্যের চোখ অর্ধেক বোজা, কোণ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে."

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

Maklumat APLIKASI tambahan

Versi Terbaru

1.1

Dimuat naik oleh

Smiley Guru

Memerlukan Android

Android 4.0.3+

Laporkan

Tandai sebagai tidak sesuai

Tunjukkan Lagi

শেষের কবিতা(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) Alternatif

Dapatkan lebih banyak daripada ডিজিটাল বাংলাদেশ

Cari