APKPure Appを使用する
স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসাの旧いバージョンをダウンロードすることが可能
স্বামী-স্ত্রীরমহাব্বতবাড়ানোরউপায়/স্বামী-স্ত্রীরসম্পর্ককেমনহওয়াউচিত
স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা-
“বিয়ে” শব্দটা মাত্র দুই অক্ষরের হলেও এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনেক বিস্তৃত, যার শিকড় রয়েছে আমাদের সমাজের খুবই গভীরে। এই বিয়ের মধ্য দিয়েই দুইজন নারী-পুরুষের এক সাথে পথ চলার শুরু হয়, তারপর চলতে হয় অনেকটা লম্বা পথ। অনেক বিবাহিত দম্পতিই তাদের এই পথ চলায় পাশাপাশি থাকেন তাদের জীবনের শেষ পর্যন্ত, আবার অনেক দম্পতিরই চলার পথ আলাদা হয়ে বেঁকে যায় ভিন্ন দুই দিকে, ঘটে বিচ্ছেদ। আসলে কীভাবে দুইজন নর-নারী বিয়ের পর সারা জীবন একসাথে একটা সুখী জীবন কাটাতে পারে, এক সাথে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করতে পারে?-এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা খুব সহজ না হলেও, অসম্ভব নয় একেবারেই।
আমাদের মনে রাখতে হবে, বিয়ে হচ্ছে দুইজন মানুষের একসাথে থাকার ইচ্ছার পরিণতি, যেখানে হয়তো পরস্পরের জন্য উভয়ের মধ্যেই অনেক রোমান্টিকতা ও আকর্ষণ কাজ করছে। কিন্তু বিয়ের পরেই আসলে তাদের একসাথে থাকার দীর্ঘপথ চলা শুরু হয়। এই দীর্ঘপথ চলায় যদি কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখা যায়, তাহলে শুরুর দিকের সেই রোমান্টিকতা, পরস্পরের প্রতি প্রেম-ভালবাসা টিকিয়ে রাখা যায় আজীবন। এমনকি আপনার চোখে দেখা পৃথিবী সেরা দম্পতির সম্পর্কও টিকে থাকার পিছনে রয়েছে পরস্পরের প্রতি মনযোগ, যত্ন এবং অনেক প্রচেষ্টা।
আমাদের পূর্ববর্তী অলি-আউলিয়ারা তাদের স্ত্রী-সন্তানের প্রতি গভীর ভালোবাসা পোষণ করতেন। এটা দোষের কিছু নয়। আমরাও আমাদের স্ত্রী-সন্তানদের ভালোবাসি, তবে তাদের মতো গভীর ভালোবাসা আমাদের মধ্যে নেই। এখানে বড় পার্থক্য রয়েছে। পার্থক্যটা হলো, আমরা স্ত্রীদের ভালোবাসি আনন্দ লাভের জন্য। স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক এজন্য যে, এতে আনন্দের বিষয় আছে। কিন্তু অলি-আউলিয়ারা এজন্য ভালোবাসেন যে, আল্লাহতায়ালা স্ত্রীদের দায়-দায়িত্ব তাদের ওপর অর্পণ করেছেন। এজন্য আমাদের ভালোবাসা ও তাদের ভালোবাসায় আকাশ-পাতালের ব্যবধান।
হজরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুণ্যাত্মা স্ত্রীদের প্রতি অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ আচরণ করতেন, তাদের প্রচণ্ড ভালোবাসতেন। যা বিভিন্ন হাদিসের বর্ণনায় এসেছে। যেমন হজরত আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দৌঁড় প্রতিযোগিতা করছেন, কাঁধের পিছনে তাকে দাঁড় করিয়ে হাবশিদের লাঠিখেলা দেখিয়েছেন, রাতের বেলায় এগারো মহিলার কাহিনী শুনিয়েছেন।
আমরা মুসলামান। আমাদের প্রত্যেকটি কাজ সুন্নতের অনুসরণে হওয়া দরকার। জীবনের যে পর্যায়ের বিষয় হোক না কেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নতে তার সূত্র পাওয়া যাবে। তাই প্রত্যেক কাজ সুন্নতের নিয়তে করা জরুরি। তাহলে দুনিয়ার সব কাজ দ্বীনের কাজে পরিণত হবে, এর দ্বারা সওয়াব হাসিল হবে। তবে এ জন্য দরকার অনুশীলন। ধরুন, আপনি ঘরে প্রবেশ করলেন, বাচ্চাকে খেলতে দেখে আনন্দ হলো, ইচ্ছা হলো তাকে কোলে নিয়ে আদর করবেন, কিন্তু এক মুহূর্তের জন্য থেমে গেলেন এবং ভাবলেন যে, ইচ্ছে হচ্ছে এজন্য এ কাজ করব না, পর মুহূর্তেই ভাবলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুদেরকে আদর করতেন, তারই অনুসরণে আমি তাকে কোলে নিয়ে আদর করবো। এরপর তাকে কোলে নিয়ে আদর করলেন; তো এই কাজটাও সুন্নতের অনুসরণের কারণে ‘দ্বীন’ হিসেবে গণ্য হবে।
হাকিমুল উম্মত হজরত আশরাফ আলী থানভি (রহ.) বলেছেন, মানুষের তাকওয়া ও খোদাভীতি বৃদ্ধি পাওয়ার দ্বারা স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসাও বৃদ্ধি পায়। কেননা, সে জানে যে, আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে তার দায়-দায়িত্ব আমার ওপর অর্পিত হয়েছে। আমি তা আদায় করতে বাধ্য। এই নিয়তে যখন সে তা আদায় করে তখন সওয়াবের অধিকারী হয়।
ইসলামি শরিয়ত মনে করে, যদি পার্থিব কারণে মানুষ আল্লাহকে ভুলে যায়, আখেরাতকে ভুলে যায় তাহলে তা নিন্দনীয় ও অশুভ। তা না হলে সহায়-সম্পদের প্রাচুর্য নিন্দিত নয়। তাই তো ইসলাম সংসার বিরাগী হওয়াকে সমর্থন করে না, ইসলাম এর অনুমতিও দেয় না।
আমাদের অ্যাপটি ভালো লাগলে ৫ স্টার দিন। আপনার ভালোলাগা মন্দ লাগা আমাদের সাথে শেয়ার করুন।******************** ধন্যবাদ।।***********************
Last updated on 2020年11月27日
Minor bug fixes and improvements. Install or update to the newest version to check it out!
স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা
1.0 by মরিচিকা
2020年11月27日