از برنامه APKPure استفاده کنید
نسخه قدیمی APK kalponik balobasar kahine را برای اندروید بگیرید
রফিক চাচীর সাথে কথা বলছে। সে ঘরে ঢুকবে ভাবছে এমন সময় থমকে দাঁড়ালো।
সাবিনা এ বাড়ির প্রায় সবকিছুই দেখে। আদিল চাচা তার আপন কেউ নয়, দূর সম্পর্কের চাচা। ঢাকায় নার্সিং পড়তে এসে সে তাদের বাসায় উঠেছিল। তারপর নার্সিং কোর্স শেষ হয়েছে, সে নার্স হিসেবে যোগও দিয়েছে একটা হাসপাতালে। বাবা-মা না থাকায় সম্ভবত বিয়ের আগে তার আর এই ঠিকানা বদলের কোন সম্ভবনা নেই। এমন নয় যে সে এখানে একদম "ফাও" থাকছে। বাসার টুকটাক থেকে শুরু করে প্রায় সব কাজই সে নিজে করে। ছুটা বুয়া রহিমার মা শুধু একবেলা আসে, দূপুরে। তাই ঘর কন্যার বেশিরভাগ কাজ সাবিনাকেই করতে হয়। এইডস রোগের নাম সাবিনা অনেক শুনেছে, বইয়ে পড়েছে। গ্রামে তাদের বাড়িতে টিভি ছিল ভাইয়ের ঘরে। ভাবীর সাথে তার সম্পর্ক ছিল বেশ খারাপ, ভালোমাত্রায় খারাপ। তাই বাড়ির ১৪ ইন্চি নতুন কেনা রঙীন টেলিভিশনটা তার দেখার সুযোগ হত কালেভদ্রে। কিন্তু ঢাকায় আসার পর সিনেমা, টিভির অ্যাড মিলিয়ে "এইডস" কি জিনিস সে জেনেছে ভালোমতই। নার্সিং কোর্স করতে গিয়ে এই জানার পরিধি আরো বেড়েছে, সরাসরি এইডস রোগীর দেখভালও করতে হয়েছে। এইতো মাস ছয়েক আগে এইচআইভি পজিটিভ এক ভদ্রমহিলা তাদের হাসপাতালেই মারা গেলেন।
সাবিনা যখন প্রথম ঢাকায় আসে তখন তার জন্য মনে হয়েছিল এটা একটা আশির্বাদ। ভাই আর ভাইয়ের বউ তার উপর শারীরিক অত্যাচার করতো এমন নয়, কিন্তু তারা আপনও ছিলনা। আদিল চাচা আর চাচী তাকে কখনো কষ্ট দেননি, ছোট নজরে দেখেছেন এমনও নয়। তারা তাকে ভালোবাসেন - এটা বলাও ভুল হবেনা। আরো একজন তাকে ভালোবেসেছিল ঢাকায়; রফিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আধুনিক ছেলে। প্রথমে তাদের ভেতর দূরত্ব ছিল। সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পরে দূরত্ব কমে আসে। বছর ঘুরতেই তাদের দুরত্ব কমে আসার মাত্রা ভয়ঙকরভাবে বেড়ে যায়। তখন রফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষে। তারা দুজনেই কাছে আসার, হ্যা, ভালোবাসার অনেক সময় ও সুযোগ পেয়েছে। রফিক তাকে ভালোবাসতো!
রফিকের পড়া শেষ হলো। চাকুরী পেতেও খুব একটা বেগ পেতে হলোনা। সাবিনা তখন স্বপ্ন বুঁনছে, সংসারের। একদিন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে কি মনে করে সাবিনা গিয়েছে চাচীর ঘরের দিকে।
Last updated on 28/07/2019
Minor bug fixes and improvements. Install or update to the newest version to check it out!
kalponik balobasar kahine
1.0 by apptech.org
28/07/2019