Jannat Laver Sohoj Amol Simple work of gaining Paradise with Audio
আমরা যারা এই দুনিয়ায় আছি, আমরা সবাই জানি এই দুনিয়া আমাদের স্থায়ী ঠিকানা না। আমরা কিছুতেই এই দুনিয়ায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে পারব না। আমাদের কে কবর বাসি হতে হবে । আর কবর বাসী হওয়ার পর আমরা দুটি দলে ভাগ হয়ে যাবো।, একটি দল যাবে আল্লাহ্র অশেষ নিয়ামতের ভাণ্ডার জান্নাতে যেখানে থাকবে নাজ নিয়ামত যা কখনই শেষ হবে না। সেখানে থাকবে সুখ আর সুখ। বাকি যে একটি দল থাবে তারা যাবে কঠিন আজাবের ভাণ্ডার জাহান্নামে। যেখানে থাকবে আল্লাহ্র ভয়ংকর আজাব যা কখনও শেষ হবে না। সেখানে থাকবে শুধু দুঃখ আর দুঃখ।
তাই আমরা সবাই জান্নাত বাসী হতে চাই । জান্নাতের অশেষ রহমতের সুখ আমরা সবাই ভোগ করতে চাই। তাই দৈনিন্দিন জীবনে আল্লাহ্র হুকুম আহকাম গুলো পালনের পাশাপাশি এখলাসের সাথে এই আমল গুলো করলে আল্লাহ তা'আলা আপনাকে নিশ্চিত জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমল গুলো হলঃ
* আল্লাহ্র ৯৯ টি গুণবাচক নামঃ
ইসলামিক পরিভাষায় আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নাম"
বিভিন্ন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে আল্লাহর নামসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ একটি নাম রয়েছে। ইসলামিক পরিভাষায় একে ইসমে আযম (অর্থ: "সর্বশ্রেষ্ঠ নাম") বলা হয়। এবং কেউ যদি এই নামসমূহের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে, সেটা তিনি (আল্লাহ) অবশ্যই কবুল করবেন।
বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাদীসসমূহ বর্ণিত হয়েছে। যেমন, এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবী মুহাম্মাদ(সাঃ) এক ব্যক্তিকে দেখলেন সালাতে তাশাহহুদে সে এ বলে দুআ করছে :
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি -এ কথার উসীলায় যে, সকল প্রশংসা আপনার, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আপনি দানশীল, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা, হে মহিমময় ও মহানুভব! হে চিরঞ্জীব ও সর্ব সত্তার ধারক!- আপনার কাছে জান্নাত চাচ্ছি এবং মুক্তি চাচ্ছি জাহান্নাম থেকে।
তখন নবী এই প্রার্থনা শুনে তার সাহাবীদের বললেন:
তোমরা কি জানো, সে কি দিয়ে দুআ করেছে? তারা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসূল (সাঃস)ভাল জানেন। তিনি বললেন: সে আল্লাহর মহান নাম দিয়ে দুআ করেছে। যে ব্যক্তি এ নামের মাধ্যমে দুআ করবে তার দুআ তিনি কবুল করবেন। (অন্য এক বর্ণনায় এসেছে যে, ইসমে আজম দিয়ে দুআ করেছে)
* সাইয়্যেদুল ইস্তেগফারঃ
হাদীস : হযরত শাদ্দাত বিন আউস (রাযি:) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনের প্রথম অংশে পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে আন্তরিকভাবে আল্লাহ পাকের সমীপে সাইয়েদুল ইস্তেগফার -এর মাধ্যমে প্রার্থনা করে এবং ঐ দিনই রাত শুরু হওয়ার পূর্বে মৃত্যু বরণ করে, নিঃসন্দেহে সে জান্নাত বাসী হবে। তদ্রূপ রাত্রের প্রথম অংশে যে ব্যক্তি এ ইস্তেগফার পাঠ করবে, সে অনুরূপ দিন শুরু হওয়ার পূর্বে মৃত্যু করলে, নিঃসন্দেহে সে জান্নাত বাসী হবে। ( বুখারী, তিরমিযী"
* আয়াতুল কুরসিঃ
নবী করীম হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামজের পর সঙ্গে সঙ্গে আয়াতুল কুরছি পাঠ করবেন তার আর জান্নাতের মাঝে শুধু ব্যবধান থাকল মৃত্যু। অর্থাৎ মৃত্যু হলেই তিনি জান্নাতে যাবেন।"
* সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতঃ
হযরত মাকাল বিন ইয়াসার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) এরশাদ করিয়াছেন, যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিনবার আউযুবিল্লাহিছ ছামিউল আলিমি মিনাশ শাইতনির রজীম পড়ার পর সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে, আল্লাহ্ তা'আলা উক্ত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে দিবেন, যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকবে। আর এই সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায় তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে সেও সমমর্যাদার অধিকারি হবে।