শুক্ল যজুর্বেদ সনাতন ধর্মের অন্যতম ধর্মগ্রন্থ।শুক্ল যজুর্বেদ দুটি খণ্ডে বিভক্ত।
শুক্ল যজুর্বেদ দুটি খণ্ডে বিভক্ত। যথা: কৃষ্ণ যজুর্বেদ ও শুক্ল যজুর্বেদ। রচনাকালের দিক থেকে শুক্ল যজুর্বেদ পূর্ববর্তী। যজুর্বেদ প্রধানত যজ্ঞকেন্দ্রিক, এতে বিভিন্ন যজ্ঞের মন্ত্র ও অনুষ্ঠানসূত্র ও বিবৃতি, যজ্ঞবেদী নির্মাণ, যজ্ঞাগ্নিসমূহের আধান ইত্যাদি আছে।
শুক্ল যজুর্বেদের মাধ্যন্দিন শাখার বাজসেনীয় সংহিতার শেষাংশে আছে এমন কয়েকটি যজ্ঞ, সর্বমেধ, পিতৃমেধ পুরুষমেধ – এদের প্রকৃত উদ্দেশ্য ও প্রণালী নিয়ে নিয়ে গবেষকদের মধ্যে এখনো বিতর্ক চলে। এই সংহিতার শেষাংশে বেশ কিছু স্থানে দার্শনিক চিন্তার প্রকাশ দেখা যায়, যা যজ্ঞকেন্দ্রিক যজুর্বেদের মূল স্রোতের থেকে আলাদা। এখানেই আছে বিখ্যাত শতরুদ্রিয় বা রুদ্রপ্রশ্ন মন্ত্রগুলি (যা দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন শিবমন্দিরে বা বেলুড়মঠে, শিবরাত্রিতে পঠিত হতে দেখেছি)। এর এই সংহিতারই শেষ ৪০তম অধ্যায়টি হচ্ছে বিখ্যাত ঈশোপনিষদ।