অ্যাপটিতে উপনিষদের উৎপত্তি ও শ্লোক-মন্ত্র সম্পর্কে বলা হয়েছে ।
উপনিষদ বৈদিক সাহিত্যের চতুর্থ বা শেষ স্তর। উপনিষদ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো যে বিদ্যা নির্জনে গুরুর সমীপে উপবিষ্ট হয়ে গ্রহণ করতে হয়, অর্থাৎ গুহ্যজ্ঞান। তবে ব্যবহার অনুসারে শব্দটি বোঝায় বৈদিক সাহিত্যের অন্তিম পর্যায়ে রচিত বিশেষ গ্রন্থাবলি। বৈদিক সাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত গ্রন্থাবলির চারটি ভাগ হলো সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক ও উপনিষদ। তবে বৈদিক ঐতিহ্য অনুসারে আরণ্যকগুলি ব্রাহ্মণের এবং উপনিষদগুলি আরণ্যকের অন্তর্গত। প্রতিটি ব্রাহ্মণ ও আরণ্যক একেকটি সংহিতার সঙ্গে সংযুক্ত বলে ধরা হয়, ফলে উপনিষদগুলিও শেষ পর্যন্ত সেভাবে পরিগণিত।
উপনিষদের সংখ্যা অনির্দিষ্ট, তবে তেরোটি উপনিষদ প্রধান ও প্রাচীন বলে স্বীকৃত। সেগুলি হলো: (ঋগ্বেদের) ঐতরেয়, কৌষীতকি, (সামবেদের) ছান্দোগ্য, কেন, (কৃষ্ণ যজুর্বেদের) তৈত্তিরীয়, কঠ, শ্বেতাশ্বতর, মৈত্রায়ণীয়, (শুক্ল যজুর্বেদের) বৃহদারণ্যক, ঈশ, (অথর্ববেদের) মুন্ডক, প্রশ্ন এবং মান্ডূক্য। এগুলির মধ্যে কয়েকটি শুধু পদ্যে এবং অবশিষ্টগুলি গদ্যে-পদ্যে রচিত। রচনাকাল সাধারণভাবে প্রাকবুদ্ধ যুগ (খ্রিপূ ৬ষ্ঠ শতক)।
উপনিষদেই ভারতীয় দার্শনিক চিন্তার প্রথম উন্মেষ ঘটে। পূর্ববর্তী যুগের ক্লান্তিকর যজ্ঞীয় জটিলতা, কর্মকান্ডসংক্রান্ত চুলচেরা বিচার ইত্যাদি থেকে মুক্তির উপায় এবং চিন্তার জগতে এক নতুন পরিমন্ডলের সন্ধান পাওয়া যায় উপনিষদে। সমকালীন সামাজিক জীবনেরও কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যায় কোনো কোনো উপনিষদ থেকে। কারও কারও মতে, বিজ্ঞানচেতনার সর্বপ্রথম উন্মেষের পরিচয়ও উপনিষদে পাওয়া যায়।
অ্যাপটি এখনি ডাউনলোড করে পড়া শুরু করুন।
আমাদের এই অ্যাপ আপনাদের ভাল লাগলে ৫ স্টার রেটিং দিবেন আশাকরি এবং আপনার বন্ধুদের সাথে এই অ্যাপটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।