এটি একটি ইসলামিক বাংলা অ্যাপস্ । কোরআন-হাদীসের আলোকে শাফাআত ।
বস্তুত শাফাআতের মালিকানা ও কর্তৃত্ব এককভাবে তাঁর নিজের জন্যই সংরক্ষিত। আল্লাহ তাআলা নিজের কাছে নিজের সুপারিশের পরে যারা সুপারিশ করবেন তারা তো তাঁরই অনুমতি বা নির্দেশ ক্রমেই করবেন এবং তা তাঁরই রহমতের প্রাকাশের কারণেই। এ হচ্ছে তাঁর ব্যক্তিগত ইচ্ছার প্রতিফলন। নবীগণের শাফাআত তো তাঁরই শাফাআতের প্রতিফলন মাত্র । তাঁর নির্দেশ বা অনুমতিক্রমে এ শাফাআত তথা সুপারিশ মূলত: তাঁরই সুপারিশের নামান্তর, যা রাস্তবায়ন করবেন নবী, ওলী, শহীদ, ফেরেশতা ও অন্যদের দ্বারা। সুতরাং তিনি ছাড়া কোনো সুপারিশকারী নেই।
আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কিয়ামতের ময়দানে কেউ শাফাআত করতে পারবে না। কেননা আদালতে আখিরাতে কোন শ্রেষ্ঠতম পয়গাম্বর এবং কোন নিকটতম ফিরিশাতাও সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে বিনা অনুমতিতে একটি শব্দও উচ্চারণ করার সাহস পাবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
কে আছে এমন, যে আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট শাফাআত করতে পারবে”?
(সূরা বাক্বারা : ২৫৫)
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন ও যার কথা তিনি পছন্দ করবেন সে ছাড়া কারো শাফাআত সেদিন কোন কাজে আসবে না। ( সূরা ত্বা-হা : ১০৯)
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
এমন একদিন আসবে যেদিন কেউ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারবে না। ( সূরা হূদ : ১০৫)
আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন সম্পর্কে বলেছেনঃ
এসব লোকেরা তো আল্লাহর কদর যতটুকু করা উচিত ছিল তা করলো না অথচ কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবী তার মুঠোর মধ্যে থাকবে। আর আকাশসমূহ থাকবে তাঁর ডান হাতের মধ্যে পেঁচানো বা ভাজ করা অবস্থায়। এসব লোকেরা যে শিরক করে তা হতে তিনি সম্পূর্ণ পবিত্র ও বহু ঊর্ধে। (সূরা যুমার : ৬৭)